পাখাটা আপন মনে ঘুরে চলেছে ধীর গতিতে
হয়তো ও নিজেও ক্লান্ত -
কম্পিউটার এর কি বোর্ডে স্তরে স্তরে জমেছে ধূলো
কবিতা গুলো আধুনিক গদ্দ্যের দ্বারে ছন্দ হারিয়ে
পথ খুঁজে চলেছে-
জানিস সব তোর জন্য-!
নিঝুম রাতে জানালার পাশ দিয়ে
মনে হয় ঔ বুঝি চলে যায় অস্পষ্ট ছায়া,
সে কি তুই?
না না হয়তো মরিচীকা হবে!
জোসনার আলো আর আসে না জানালা দিয়ে
জানিনা কি অপরাধে?
পেন হাতে বসে থাকি
পাশে ছেঁড়া ডাইরিটা
হিজি বিজি ভাবনা গুলো
বল্লমের ফলার মত বারবার বিঁধতে থাকে বুকে!
জানিস সেই কৃষ্ণ চূড়া গাছটা
কেমন যেন শুকিয়ে গেছে
আর ফুল ফোটে না-
ওর বুকে পেরেক দিয়ে তোর লেখা নামটাও
কেমন অস্পষ্ট হয়ে গেছে!
কি জানি আজ ও হয়তো খুশি
বুকে পেরেক ঠোকার প্রতিশোধ নিতে পেরে!
নদীর জল কেমন শান্ত-
আর গান শোনায় না আমাকে!
ঢেউ এর তালে তালে
চুরি করে নিয়ে যেত
তোর আলতা রাঙা পায়ের ছোঁওয়া
ও কেমন যেন বিষণ্ণ
আড় চোখে দেখে আমাকে!
কনকনে শীতে পড়ন্ত বিকালে
তোর উষ্ণ হাতের ছোঁয়া
বর্ষা হয়ে চোখের জলে সব ধুয়ে গেছে
মনে হয়-
গ্রীষ্মের চিতায় আমি দাউ দাউ করে জ্বলছি!
ফুচকা ওয়ালা আজও বসে দোকান সাজিয়ে
কিন্তু খদ্দের নেই,
হয়তো আমার মনের মতো-
ওর ব্যবসাতেও মন্দা!
একটা কৌতূহলী দৃষ্টি নিয়ে
তাকিয়ে থাকে আমার দিকে
হয়তো তোকে খোঁজে!
এক কাপে চা খাওয়া
একবার তুই একবার আমি
চা দোকানের সেই ছোট্ট কাঁচের গ্লাসটা
আজও পড়ে আছে-
শুধু তুই নেই!
কত হাত ঘুরে ঘুরে
কত ঠোঁট ছুঁয়ে
তবু পড়ে থাকে আমার মত
শুধু তোর অপেক্ষায়!
দিন থেকে রাত
রাত থেকে মাস
মাস থেকে বছর
পার হয়ে যায় সময়-
টিক টিক করে!
মরছে ধরেছে স্বপ্ন গুলোতে
একটু একটু করে মাকড়সার জালে
আবদ্ধ হচ্ছে স্মৃতি গুলো,
ঘুন ধরেছে ক্লান্ত মনে
এলো মেলো স্বরলিপি বুকে
আমি একলা পথিক-
পথ চলেছি
শুধু তোর খোঁজে!
***************************