কাশের
ফুলে নতুন করে
লাগলো আবার দোলা
শরতের
মেঘ আপন মনে হয়েছে পথ ভোলা।
ঢাকের
কাঠি উঠলো বেজে
কলা
বউটি লুকায় লাজে,
ফিরে
আসে কত পাখ পাখালি
সাজিয়ে
নিয়ে গানের ডালি।
শৈল
তলে ঝড়ে পড়ে ঝর্ণার মূর্ছনা
সবাই
এলো ফিরে ফিরে
কই তুমি তো এলে না!
মোহন
আলোয় জাগল রবি
নতুন
সুরে গাইবে নবী
সবুজ
যেন প্রকৃতিকে ঢাকল কোমল স্নেহে
শান্ত
নদী কলোচ্ছাসে যায় গো হৃদয়ে ধেয়ে।
শিশির
ঝরে ধানের শিষে
বাতাস
তাতে যায় গো মিশে,
শুরু
হয় প্রকৃতির মহামিল
দূর
হতে সুর্য দেখে হাসিছে খিল খিল।
স্বলাজে
সে তাকায় মিটিমিটি
যেন
উঠলো জ্বলে প্রভাত বেলার বাতি
দেউটি।
শিউলি
শেফালীর রূপ দেখিয়া নয়ন ফেরে না-
তোমারআশায়
রইগো বসে
তুমি তো এলে না!
ফুলের
বনে জাগল জোয়ার
দোয়েল
শ্যামা খুলল দুয়ার
তাদের
গানে গানে;
চারিপাশটা
ভরিয়ে দিলে আনন্দ কলতানে।
মেঘের
সাথে রবি মামা খেলছে লুকোচুরি,
নদীর
ঘাটে আজও বাঁধা মোর সে ভাঙ্গা তরী।
একলা
আমি রইগো বসে তোমার পথ চেয়ে
কত
রমণী গেলা ফিরে এই ঘাটেতেই নেয়ে।
শুকিয়ে
গেল মিলন মালা,
ফুরিয়ে
এবার গোধূলি বেলা
আসল
নেমে আঁধার;
ক্ষুদ্র
বক্ষে হঠাৎ যেন তরঙ্গ তুলিল পাথার।
পশ্চিম
কোনে আঁধার নামে;
মন
যে মানে না-
সবাই
এলো ফিরে ফিরে
তুমি তো এলে না!
- একলা পথিক